অর্থ সংকটে থাকা রাষ্ট্রায়াত্ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকে ঋণ দেয়ার
কথা চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে প্রতিষ্ঠানটির কি পরিমাণ সম্পদ
আর দায় দেনা আছে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সম্প্রতি টেলিটকের
থ্রিজি স্পেকট্রামের সাড়ে ১৬০০ কোটি টাকার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়
সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সরকারের
পক্ষ থেকে এ অবস্থান জানানো হয়েছে।
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে টেলিটক বাংলাদেশে প্রথম থ্রিজি সেবা প্রবর্তন
করে। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত তাদের সেবাকে বলা হচ্ছে ‘পরীক্ষামূলক থ্রিজি
সেবা’। এমনকি জটিলতা এড়াতে পরীক্ষামূলক সময়টি আগামী এপ্রিল পযর্ন্ত
বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি অপারেটররা যাতে ঝামেলা না করতে পারে তার জন্যে
পরীক্ষামূক সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বেসরকারি অপারেটরগুলো বলছে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি) যদি টেলিটককে অযাচিতভাবে বাড়তি সুবিধা দিয়ে দেয় তাহলে তারাও এ
বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। এদিকে গত
বছর সেপ্টেম্বর মাসে চারটি বেসরকারি অপারেটরও একটি নিলামের মাধ্যমে থ্রি জি
লাইসেন্স পায়। নিলামে তাদের জন্যে নির্ধারিত স্পেকট্রাম ফি ছিল প্রতি
মেগাহার্ডজ ২১ মিলিয়ন ডলার।
নিলামে নির্ধারিত মূল্যে এখন টেলিটককেও স্পেকট্রামের একই মূল্যে নিতে
হবে। টেলিটকের থ্রিজি স্পেকট্রাম আছে ১০ মেগাহার্ডজ। সে অনুসারে বিটিআরসি’র
তাদের কাছে কেবল স্পেকট্রাম ফিই আছে ২১ কোটি ডলার। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ
ভ্যাট। তবে গত ২৩ অক্টোবর থ্রি জি’র সাড়ে ১০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি দিয়ে
দিয়েছে অপারেটরটি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে টেলিটক স্পেকট্রাম ফি’র সাড়ে
১৬’শ কোটি টাকার মধ্যেও ৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
Source:(প্রিয় টেক)
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment